ওসিকে ‘এক টাকা’ জ'রিমানা করলেন আ'দালত
পাবনার আমিনপুর থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) রওশন আলীকে এক টাকা অর্থদ'ণ্ড দিয়েছেন আ'দালত। জ'রিমানার এই অর্থ অনাদায়ে আ'দালতের কার্যক্রম যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ তাঁর কারাদ'ণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তবে ওসি রওশন আলী জ'রিমানার এক টাকা পরিশোধ করেছেন
মঙ্গলবার (৯ মা'র্চ) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান পু'লিশ পরিদর্শক রওশন আলীকে এ দ'ণ্ড দেন। আ'দালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাক্ষী দিতে আসার জন্য বারবার সমন পাঠানো হলেও ওসি রওশন আলী অনুপস্থিত থেকেছেন। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আ'দালত ওসিকে দ'ণ্ড দিয়েছেন।
আ'দালত সূত্রে জানা গেছে, অন্য আরেকটি মা'মলার ক্ষেত্রেও আ'দালতের সমন অবজ্ঞা করেছিলেন ওসি রওশন। এ জন্য তিনি পরে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আ'দালত তখন তাঁকে ক্ষমা করেন। মঙ্গলবারও আ'দালতে হাজির হয়ে ওসি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। তবে আ'দালত মনে করেছেন ওসির কোনো অনুশোচনা নেই। তাই এক টাকা অর্থদ'ণ্ড করা হয়।
আ'দালতের পেশকার হেমন্ত বর্মন জানান, রওশন আলী আগে পাবনা জে'লা পু'লিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্ম'রত ছিলেন। ২০১৮ সালে ৬ আগস্ট নিরাপদ সড়ক চাই-এর আ'ন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অ'ভিযোগে এক যুবককে আ'ট'ক করে তখন তিনি একটি মা'মলা করেন। মা'মলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আ'দালত ত'দন্ত কর্মক'র্তাসহ অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ইনফরমেন্ট সাক্ষী হিসেবে রওশন আলীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পর পর ছয়বার সমন পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি আ'দালতে আসেননি। পরে আ'দালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রওশন আলীর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে আ'দালতের সমনের ছবি পাঠান। এতেও কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
ফলে মা'মলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই কেন তাঁর বি'রুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ পাঠান আ'দালত। গত ২৬ জানুয়ারি এ নোটিশ পাঠানোর পর মা'মলার নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওসি।
তবে আ'দালত ওসিকে এক টাকা অর্থদ'ণ্ড অনাদায়ে কারাদ'ণ্ডের আদেশ দেন। পেশকার হেমন্ত বর্মন আরও জানান, আ'দালতের আদেশের পর ওসি রওশন আলী তাঁর কাছে জ'রিমানার এক টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকাটি জমা দিয়েছেন। দুপুরেই তিনি সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় টাকাটি জমা দেন বলে জানান পেশকার।