৩ দিন বাথরুমের পানি খেয়ে বেঁচে আছে লিজা!
রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধ'রা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বাথরুমে আ'ট'কে রাখা ১২ বছর বয়সী গৃহকর্মী শি'শুকে উ'দ্ধার করেছে পু'লিশ। শি'শুটি তিন দিন ধরে বাথরুমে আ'ট'কা অবস্থায় শুধুমাত্র পানি খেয়ে বেঁচে অোছে। তার সমস্ত শরীরে জ'খমের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পু'লিশ সদস্যরা শি'শুটিকে উ'দ্ধার করে শনিবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা'লে নিয়ে যায়।
শনিবার (৫ মা'র্চ) বেলা ৩টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে বসুন্ধ'রার বি ব্লকের, ৪ নম্বর রোডের ১৯৩ নম্বর বাসার পাঁচতলার দরজার তালা খুলে ভিতরে বাথরুম থেকে গৃহকর্মীকে উ'দ্ধার করে পু'লিশ। পরে শি'শুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
নি'র্যা'তনের শিকার লিজা জানায়, তুচ্ছ সব কারণে তাকে নি'র্যা'তন করা হতো। ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে, কাজ না পারলে, পাশের বাসার বিড়াল শব্দ করলেও গৃহকর্ত্রীর ছে'লে অ'ভিযোগ করতো। তখন তাকে মা'রধর করা হতো। রান্না করার গরম খু'ন্তি দিয়ে তার মা'থা থেকে পা পর্যন্ত ছ্যাঁকা দেওয়া হতো। এছাড়া রড দিয়ে পে'টানো হতো।
সবশেষ তাকে বাথরুমে আ'ট'কে রেখে তিন দিন আগে বাসা থেকে চলে গেছে বাসার লোকজন। তিন দিন বাথরুমের পানি খেয়ে সে বেঁচে ছিল। এ সময় কা'ন্নাকাটি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। শি'শুটি দুঃস'ম্পর্কের আত্মীয়র মাধ্যমে ভাটারা থা'নাধীন বসুন্ধ'রা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় ২ মাস ধরে সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে কাজে করতো। ওই বাসার গৃহক'র্তার নাম এজাজ ও কর্ত্রী তান্নি এর বেশি কিছু বলতে পারছিল না শি'শুটি।
লিজা জানায়, তার বাড়ি ময়মনসিংহ জে'লায়। বাবা রতন মা কে তালাক দিয়েছে। মা সেলিনা অন্যত্র বিয়ে করেছে। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে লিজা তৃতীয়। দুই মাস আগে কমলা নামে এক নারী মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে ওই বাসায় তাকে কাজে দিয়েছে।
ভাটারা থা'নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান মাসুদ জানান, বেলা ৩টার পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে বসুন্ধ'রার ওই বাসা থেকে তাকে উ'দ্ধার করা হয়। এ সময় বাসার দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে পরে তালা খুলে নি'র্যা'তনের শিকার লিজাকে বাথরুমের ভেতর আ'ট'কানো অবস্থায় পাওয়া যায়। গৃহকর্মী লিজার সমস্ত শরীরে আ'ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভাটারা থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, ‘শি'শুটিকে অমানুষিক নি'র্যা'তন করেছে গৃহক'র্তা এজাস সাকলাইন ও গৃহকত্রী তানজিমা হাসেম। পরে খালি বাসায় থাকে বাথরুমে আ'ট'কে রেখেছিল। তার চি'ৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ৯৯৯-এ ফোন দিলে পু'লিশ গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উ'দ্ধার করে।