শার্টের বোতাম খুলে দিচ্ছি, মা'রার ইচ্ছা থাকলে আসুন!
দলের কর্মসূচিতে সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পু'লিশি বাধার অ'ভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সুস্থভাবে আম'রা রাজনীতি করতে চাই। কেরানীগঞ্জের মানুষগুলো একসঙ্গে বসবাস করতে চাই। আজকে এই কেরানীগঞ্জে এসেছি ম'রার জন্য।
আওয়ামী লীগের লোকজন অথবা পু'লিশেরও কারো কারো খায়েশ থাকে তো শার্টের বোতামগুলো খুলে দিচ্ছি। মা'রার ইচ্ছা থাকলে আসুন।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজে'লা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় দেশের মানুষ তার অভাবের কথা প্রকাশ করতে পারবে না কেন- সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন গয়েশ্বর চন্দ্র
রায়।এর আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাতে সমাবেশের জন্য জিনজিরা পার্টি অফিসের পাশে একটি মঞ্চ করলে তা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা হা'মলা চালিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় সেখানে আমা'র সাথে দায়িত্বপালন করা নেতাকর্মীদেরও মা'রধর করা হয়। এতে ২৫ জনের মতো নেতাকর্মী আ'হত হয়। খবর পেয়ে রাত ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রাতভর জিনজিরা পার্টি অফিসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করেন গয়েশ্বর।গয়েশ্বর বলেন, কেরানীগঞ্জের মু'সলমানরা তাদের সময় মতো নামাজ পড়ে। আম'রা হিন্দু সম্প্রদায় পূজার সময় পূজা করি। আওয়ামী লীগ সভা করে আমাদের
সমালোচনা করুক। আম'রাও আরেকটা সমাবেশ করে তাদের উত্তর দেব। কিন্তু কারও সভা ভেঙে নয়।গয়েশ্বর বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযু'দ্ধে ম'রিনি। ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বরের হা'মলায়ও ম'রিনি। যারা এই হা'মলা করে তাদের দেখাতে চাই, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে মানুষ সম্মান করে। মানুষ একবারই ম'রে। আজকে এই কেরানীগঞ্জে এসেছি ম'রার জন্য। আওয়ামী লীগ লোকজন অথবা পু'লিশেরও কারো কারো খায়েশ থাকে শার্টের বোতামগুলো খুলে দিচ্ছি। সরকারকে বলব, নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম কমান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিন আমি গু'লি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণমাধ্যমসহ সবাই
বলে বাংলাদেশ থেকে মাত্র দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই টাকা যদি পাচার না হতো, বাংলাদেশে বিনিয়োগ হতো। তাহলে অনেক শিল্পকলকারখানা হতো, কর্মসংস্থান হতো। আমাদের চাহিদা পূরণের পরও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম। আমাদের যুবক ভাইদের বৈধ অথবা অ'বৈধ উপায়ে বিদেশে যেতে হতো না। ভূমধ্যসাগরে পানিতে ডুবে ম'রতে হতো না।এই সরকারের নানা মানুষ নানা দায়িত্বে। কেউ সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে। যারা সীমান্তের দায়িত্বে তাদের কাছে অ'স্ত্র আছে, তারা অন্যায় দেখলেও গু'লি করতে পারে না। অ'পরদিকে ভা'রতের বিএসএফ পাখির মতো আমাদের দেশের মানুষকে একের পর এক গু'লি করে মা'রছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু সরকারের কোনো প্রতিবাদ নেই।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আম'রা ফারাক্কার পানি অনেক আগে থেকে পাই না। এমনকি তিস্তার পানিও আম'রা পাচ্ছি না। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভা'রতে আমাদের ফেনী নদীর পানি মানবিক কারণে দেওয়া হচ্ছে। আম'রা মানবিক কারণে পানি দিচ্ছি, যদিও আমাদের যথেষ্ট পানির অভাব রয়েছে। তাহলে ভা'রত থেকে পানি আনতে পারছি না কেন? এর জবাব কে দেবে?বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। দুটি জিনিসের দাম কমছে। একটা হচ্ছে মানুষের জীবনের দাম, অন্যটি হচ্ছে নারী ও শি'শুর দাম। আজকে অবুঝ শি'শুরা ধ'' র্ষ' ণের শিকার হন, মা বোনকে তার ইজ্জত হারাতে হয়।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,
আজকে ঘরে থাকলে ম'রতে হয়, বাইরে গেলে গু'ম হয়ে যেতে হয়। কখনো কখনো গু'লি খেয়ে ম'রতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রের অনেক টাকা ব্যয় হয়, অনেক লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আগে থা'নাতে একটি জিপ ছিল না। এখন প্রায় সব থা'নার সাব ইন্সপেক্টরই গাড়িতে চড়ে। তাদের কাজ কী'? জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা সরকারের লোকদের নিরাপত্তা দিতে দিতেই ব্যস্ত, সুতরাং জনগণ নিরাপত্তা পায় না। সে কারণে নারী শি'শুসহ জনগনের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে পারে না।বিএনপির এই নেতা বলেন, এই কেরানীগঞ্জে কতটা মা'দক স্পট আছে ? নিশ্চয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জানেন। থা'নার কর্মক'র্তাদেরও না জানার কথা না। মা'দক ব্যবসা কিন্তু অহরহ চলছে।
এদিকে একটু নজর দেন। তাতে কিছু যুব সমাজ বাঁচুক। একটি পরিবারের একজন মা'দক গ্রহণ করলে সেই পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যায়। সেদিকে একটু নজর দেন। তা দিবেন না। ভূমি দখল, জায়গা দখলের কোনো শেষ নেই। বৃহত্তর ঢাকা জে'লার যে প্ল্যান আছে, সেখানে খাল বিল, নিচু জমি ও কৃষি জমি ভরাট করা নিষেধ। একটা শস্য শ্যামল এলাকা কেরানীগঞ্জ ছিল, আজকে বালুতে ঢাকা। কার জমিতে এই বালু কে ফেলে ভরাট করে ? আবার বালু ভরাটের টাকা দিতে না পারলে জমি দিয়ে দিতে হয়। এতে করে কেরানীগঞ্জের মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে। হাউজিং করে প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু জমির মালিকের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে কি না সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। এসবের কোনো বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলাসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেউই নজর দেন না।সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত জিনজিরায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজে'লা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থানীয় নেতা হাজী ওম'র শাহ নেওয়াজ, আব্দুল মান্নান রতন, ইশা খান, যুবদলের মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহেল রানা, মহিলা দলের নার্গিস হক, ছাত্রদলের পাভেল মোল্লা প্রমুখ।