৫৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে হামিদা
প্রতিটি মানুষের জীবনে বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জন্ম ও মৃ'ত্যুর পরই মানুষের জীবনে বিয়ে অনেক বড় একটি ঘটনা। আর তাইতো ৫৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে হামিদা।জানা যায়, অভাবের সংসারে জন্ম হয়েছিল হামিদা বেগমের। তার বয়স এখন ৫৮ বছর। বাবা-মাকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। দুই বোনের মধ্যে বড় তিনি।
ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যান হামিদা। তবে নিজে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। অবেশেষে হামিদা বেগম বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। গ্রামবাসীর আয়োজনে ৬৮ বছর বয়সী মোকছেদ আলী গাজীর সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে।হামিদা বেগম সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজে'লার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃ'ত শহর আলী গাজীর মে'য়ে। দিনমজুরের কাজ করে কোনো মতে চলতেন তিনি। বর মোকছেদ আলী গাজী একই উপজে'লার নলতা ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের মৃ'ত ছবেদ আলী গাজীর
ছে'লে। তিনি নিজের জমিজমা দেখাশোনা করেন।তারালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট বলেন, হামিদা আপার বয়স ভোটার আইডি কার্ডে ৫০ হলেও বাস্তাবে ৫৭-৫৮ বছর হবে। তিনি খুব গরিব, তবে ধ'র্মভীরু ও চরিত্রবান। এলাকার মানুষ কেউ কোনোদিন তার নামে কোনো বদনাম দিতে পারেনি। কেউ কখনো কোনো অ'ভিযোগও
দেয়নি তার বি'রুদ্ধে। তবে আপা বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। আসলে কী' কারণে তিনি বিয়ে করতে চাইতেন না সেটি কেউ কখনো জানতেও পারেননি।তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি হামিদা আপাকে কে যেন বলেছেন বিয়ে না করলে বেহেশতে যেতে পারবে না। তখন আপা বিয়ে করতে রাজি হন। এই খবর মুহূর্তের মধ্যেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামবাসী সবাই মিলে পাত্র খুঁজতে শুরু করে। দেখাশুনার একপর্যায়ে মোকছেদ আলী গাজী মিলে যায়। পাত্র-পাত্রী দুইজন দুইজনকে পছন্দ করলে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার (৪ মা'র্চ) দুপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে গ্রামবাসীর আয়োজনে বিয়ে দেওয়া হয় তাদের।ইনামুল হক ছোট বলেন, বিয়েতে গ্রামবাসী সবাই টাকা খরচ করেছেন। গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত হয় বিয়ের আয়োজনে। খাওয়া দাওয়া হয়। আমিও ছিলাম বিয়ের আয়োজকদের একজন। বরযাত্রী এসেছিল ২০ জন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে নতুন বর-কনেকে বিদায় দিয়ে গ্রামবাসী বাড়িতে ফিরে যায়।