করো'না আরও ৮ জনের মৃ'ত্যু, শনাক্তের হার ৩.২২ শতাংশ
করো'না শনাক্তের সংখ্যা আজও হাজারের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৩২ জনের শরীরে করো'না ধড়া পড়েছে। শনাক্তের হার নেমেছে ৩ দশমিক ২২ শতাংশে।এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করো'নায় আ'ক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করো'নায় এখন পর্যন্ত প্রা'ণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৫৩ জন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করো'নাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বি'জ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন (মঙ্গলবার) ৮ জনের মৃ'ত্যু খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্ত হন ৭৯৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের দিন (সোমবার) ৪ জনের মৃ'ত্যু হয়; করো'না শনাক্ত হয় ৮৯৭ জনের, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তার আগের দিন (রোববার) ৯ জনের মৃ'ত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮৬৪ জন, শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এরও আগে (শনিবার) ৮ জনের মৃ'ত্যু হয়; করো'না শনাক্ত হন ৭৫৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। তারও আগে শুক্রবার ১১ জনের মৃ'ত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করো'না শনাক্ত হন ১৪০৬ জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বুধবারের বি'জ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করো'না থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮২৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৯ জন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২২ হাজার ৭১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
দেশে করো'নাভাই'রাসের প্রথম সংক্রমণ ধ'রা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মা'র্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মা'র্চ দেশে প্রথম মৃ'ত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃ'ত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করো'না শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করো'নায় মৃ'তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃ'ত্যু হয়, যা মহামা'রির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃ'ত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃ'ত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃ'ত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃ'ত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করো'নাভাই'রাস মহামা'রিতে মৃ'ত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃ'ত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।